আজকের স্বর্ণের দাম কত টাকা জেনে নিন

আজকের স্বর্ণের দাম বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন এর নির্ধারন করা দাম অনুযায়ী আজকে বাংলাদেশে ২২ ক্যারেট ১ ভরি স্বর্ণের দাম ১,৭১,৬০১ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ ভরি স্বর্ণের দাম ১,৬৩,৭৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ ভরি স্বর্ণের দাম ১,৪০,৪০০ টাকা। 

আজকের-স্বর্ণের-দাম

বিনিয়োগ ও চাহিদা, সরবরাহ এবং খনি উৎপাদন, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ডলার রেট ইত্যাদির উপর নির্ভর করে স্বর্ণের দাম কম অথবা বেশি হয়ে থাকে। নিচে ক্যারেট এবং ভরি ও আনার হিসেবে বাংলাদেশের আপডের স্বর্ণের দাম দেওয়া হয়েছে। 

আজকের স্বর্ণের দাম

আজকের স্বর্ণের দাম

আজকের স্বর্ণের দাম বাংলাদেশে কত টাকা এটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল দেশেই প্রতিদিন স্বর্ণের দাম বাড়ে অথবা কমে। তবে বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম নির্ধারন করে বাংলাদেশের বৃহত্তম জুয়েলার্স সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন। এই সংগঠন স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কত বাড়লো নাকি কমলো, স্থানীয় খরচ, এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে কিছুদিন পর পর স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারন করে থাকে। এখন আমরা নিচে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে গ্রাম এবং ভরির হিসেবে সোনার দাম সম্পর্কে জানবো।

গ্রাম হিসেবে সোনার দামঃ
ক্যারেট পরিমাণ টাকা
২২ ক্যারেট ১ গ্রাম ১৪,৭১২ টাকা
২১ ক্যারেট ১ গ্রাম ১৪,০৪৩ টাকা
১৮ ক্যারেট ১ গ্রাম ১২,০৩৭ টাকা
সনাতন পদ্ধতি ১ গ্রাম ৯,৯৫৬ টাকা

ভরি হিসেবে সোনার দামঃ
ক্যারেট পরিমাণ টাকা
২২ ক্যারেট ১ ভরি ১,৭১,৬০১ টাকা
২১ ক্যারেট ১ ভরি ১,৬৩,৭৯৮ টাকা
১৮ ক্যারেট ১ ভরি ১,৪০,৪০০ টাকা
সনাতন পদ্ধতি ১ ভরি ১,১৬,১২৭ টাকা

১৮ ক্যারেট সোনার দাম - আনা হিসেবে ১৮ ক্যারেট সোনার দাম

১৮ ক্যারেট সোনার এক ভরির বর্তমান দাম বাংলাদেশে ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা। এখন আমরা ১৮ ক্যারেট সোনার প্রতি ভরির দাম কত টাকা হবে এই হিসেব সহজে জানার চেষ্টা করবো।
১৮ ক্যারেট সোনা (আনা) টাকা (বাংলাদেশি)
১ আনা ৮,৭৭৫ টাকা
২ আনা ১৭,৫৫০ টাকা
৩ আনা ২৬,৩২৫ টাকা
৪ আনা ৩৫,১০০ টাকা
৫ আনা ৪৩,৮৭৫ টাকা
৬ আনা ৫২,৬৫০ টাকা
৭ আনা ৬১,৪২৫ টাকা
৮ আনা ৭০,২০০ টাকা
৯ আনা ৭৮,৯৭৫ টাকা
১০ আনা ৮৭,৭৫০ টাকা
১১ আনা ৯৬,৫২৫ টাকা
১২ আনা ১,০৫,৩০০ টাকা
১৩ আনা ১,১৪,০৭৫ টাকা
১৪ আনা ১,২২,৮৫০ টাকা
১৫ আনা ১,৩১,৬২৫ টাকা
১৬ আনা (১ ভরি) ১,৪০,৪০০ টাকা

২১ ক্যারেট সোনার দাম - আনা হিসেবে ২১ ক্যারেট সোনার দাম

২১ ক্যারেট সোনার এক ভরির বাংলাদেশে বর্তমান দাম হচ্ছে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৭৯৮ টাকা। এখন আমরা ২১ ক্যারেট সোনার প্রতি ভরির দাম কত টাকা হবে এই হিসেব সহজে জানার চেষ্টা করবো।
২১ ক্যারেট সোনা (আনা) টাকা (বাংলাদেশি)
১ আনা ১০,২৩৭.৩৮ টাকা
২ আনা ২০,৪৭৪.৭৫ টাকা
৩ আনা ৩০,৭১২.১৩ টাকা
৪ আনা ৪০,৯৪৯.৫০ টাকা
৫ আনা ৫১,১৮৬.৮৮ টাকা
৬ আনা ৬১,৪২৪.২৫ টাকা
৭ আনা ৭১,৬৬১.৬৩ টাকা
৮ আনা ৮১,৮৯৯.০০ টাকা
৯ আনা ৯২,১৩৬.৩৮ টাকা
১০ আনা ১,০২,৩৭৩.৭৫ টাকা
১১ আনা ১,১২,৬১১.১৩ টাকা
১২ আনা ১,২২,৮৪৮.৫০ টাকা
১৩ আনা ১,৩৩,০৮৫.৮৮ টাকা
১৪ আনা ১,৪৩,৩২৩.২৫ টাকা
১৫ আনা ১,৫৩,৫৬০.৬৩ টাকা
১৬ আনা (১ ভরি) ১,৬৩,৭৯৮ টাকা

২২ ক্যারেট সোনার দাম - আনা হিসেবে ২২ ক্যারেট সোনার দাম

২২ ক্যারেট সোনার এক ভরির বাংলাদেশে বর্তমান দাম হচ্ছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকা। এখন আমরা ২২ ক্যারেট সোনার প্রতি ভরির দাম কত টাকা হবে এই হিসেব সহজে জানার চেষ্টা করবো।
২২ ক্যারেট সোনা (আনা) টাকা (বাংলাদেশি)
১ আনা ১০,৭২৫.০৬ টাকা
২ আনা ২১,৪৫০.১৩ টাকা
৩ আনা ৩২,১৭৫.১৯ টাকা
৪ আনা ৪২,৯০০.২৫ টাকা
৫ আনা ৫৩,৬২৫.৩১ টাকা
৬ আনা ৬৪,৩৫০.৩৮ টাকা
৭ আনা ৭৫,০৭৫.৪৪ টাকা
৮ আনা ৮৫,৮০০.৫০ টাকা
৯ আনা ৯৬,৫২৫.৫৬ টাকা
১০ আনা ১,০৭,২৫০.৬৩ টাকা
১১ আনা ১,১৭,৯৭৫.৬৯ টাকা
১২ আনা ১,২৮,৭০০.৭৫ টাকা
১৩ আনা ১,৩৯,৪২৫.৮১ টাকা
১৪ আনা ১,৫০,১৫০.৮৮ টাকা
১৫ আনা ১,৬০,৮৭৫.৯৪ টাকা
১৬ আনা (১ ভরি) ১,৭১,৬০১ টাকা

খাঁটি স্বর্ণ চেনার উপায়

সোনা একটি মূল্যবান ধাতু হওয়ার কারণে অনেক সময় অনেক অসাধু ব্যবসায়ী আসল সোনা বলে নকল সোনা বিক্রি করে থাকে অথবা নকল সোনার গহনা বানিয়ে আসল সোনার গহনা বলে বিক্রি করে থাকে। সোনা অনেক মূল্যবান ধাতু হওয়ার কারণে সোনা বা সোনার তৈরি জিনিস ক্রয় করার সময় কিছুটা সতর্ক হওয়া অনেক জরুরী একটি কাজ। সোনা আসল নাকি নকল অথবা খাঁটি সোনা চেনার কিছু উপায় রয়েছে। এখন আমরা খাঁটি স্বর্ণ চেনার কিছু উপায় সম্পর্কে জানবো।

  • হলমার্ক বা ক্যারেট মার্ক পরীক্ষাঃ খাঁটি সোনা চেনার সব চেয়ে সহজ উপায় গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে হলমার্ক বা ক্যারেট মার্ক দেখা। বাংলাদেশে সাধারণত বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (BAJUS) অনুমোদিত স্বর্ণে ২২ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, বা ১৮ ক্যারেটের সঠিক মার্ক থাকে। তবে আপনি যদি বিদেশ থেকে সোনা ক্রয় করতে যান তাহলে BIS মার্ক দেখে ক্রয় করতে হবে। আসল স্বর্ন হলে স্বর্ণের বিস্কুটের উপর আসল ক্যারেট ও ক্যারেট নম্বর খোদাই করা থাকবে। ক্যারেট ও ক্যারেট নম্বর ছাড়া সোনা ক্রয় থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • স্বর্ণের রঙ ও উজ্জ্বলতা লক্ষ্য করাঃ খাঁটি সোনার রঙ সব সময় উজ্জ্বল হলুদ রঙের হয়ে থাকে। যেসকল সোনার গহনায় ভেজাল বা অন্য ধাতু যেমন পিতল, ব্রোঞ্জ, তামা, ক্যাডমিয়াম, বিসমাথ ইত্যাদি দেওয়া থাকে সেগুলোর রঙ সাধারণত হলুদ হলেও কিছুটা কম উজ্জ্বল হয়ে থাকে। 
  • চুম্বক দিয়ে পরীক্ষাঃ খাঁটি সোনা চুম্বুকের সাথে আকর্ষন করেনা। আপনি যখন সোনার তৈরি গহনা ক্রয় করতে যাবন তখন উক্ত গহনার কাছে চুম্বক এনে পরিক্ষা করে দেখতে পারেন। যদি চুম্বক গহনার সাথে অল্প পরিমাণ হলেও আকর্ষন করে তাহলে বুঝতে হবে উক্ত সোনার গহনার সাথে অন্য ধাতু মিশ্রন করা আছে।

স্বর্ণ কত ক্যারেট বোঝার উপায়

স্বর্ণের ক্যারেট সাধারণত ১৮, ২১, ২২ এবং ২৪ ক্যারেট এই ৪ প্রকার হয়ে থাকে। এই গুলোর মধ্যে সব চেয়ে খাঁটি স্বর্ণ হচ্ছে ২৪ ক্যারেট স্বর্ণ। কারণ ২৪ ক্যারেট স্বর্ণে ৯৯.৯% খাঁটি স্বর্ণ থাকে। অপর দিকে ২২ ক্যারেট স্বর্ণে ৯১.৬% স্বর্ণ, ২১ ক্যারেট স্বর্ণে ৮৭.৫% স্বর্ণ এবং ১৮ ক্যারেট স্বর্ণে ৭৫% স্বর্ণ থাকে। স্বর্ণ কত ক্যারেট তা বোঝার জন্য বেশ কিছু উপায় রয়েছে। তার মধ্যে সব চেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে হলমার্ক বা ক্যারেট মার্ক দেখা। কারণ হলমার্ক বা ক্যারেট মার্কে স্বর্ণ কত ক্যারেট তা স্পষ্ট ভাবে লিখা থাকে।
তবে স্বর্ণের গহনা ক্রয় করার সময় হলমার্ক বা ক্যারেট মার্ক দেখে স্বর্ণ কত ক্যারেট তা বোঝা যায় না। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে রঙ ও উজ্জ্বলতা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের রঙ সবচেয়ে গাঢ় হলুদ ও উজ্জ্বল হয়ে থাকে। এরপর ২২ ক্যারেট সামান্য কম উজ্জ্বল কিন্তু সুন্দর সোনালি আভা থাকে এবং ১৮ ক্যারেট অনেক সময় লালচে বা হালকা রঙের হয় কারণ তাতে বেশি ধাতু মেশানো থাকে। তবে আপনার যদি স্বর্ণ সম্পর্কে ভালো জ্ঞান না থাকে তাহলে আপনি রঙ দেখে ক্যারেট নির্ধারন করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে আপনার জন্য সেরা উপায় হবে একজন অভিজ্ঞ মানুষ দ্বারা স্বর্ণ পরিক্ষা করানো।

ভ্যাট ও মজুরির হিসাব কিভাবে হয়

স্বর্ণ কেনার ভ্যাটের সহজ হিসাবঃ আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে স্বর্ণ ক্রয় করতে চান তাহলে আপনাকে স্বর্নের নির্ধারিত দামের উপরে আরোও ৫% ভ্যাট দিতে হবে। অর্থাৎ সহজ ভাষায় বলতে গেলে বাজারে ঘোষিত প্রতি ভরির দামের ওপর ৫% অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ আপনি যদি ১৬ আনা বা এক ভরি স্বর্ণ অথবা স্বর্ণের গহনা ক্রয় করতে চান তাহলে আপনাকে বাংলাদেশে আজকের বাজারে স্বর্ণের ভরি ১,৭১,৬০১ টাকা এবং এর ভ্যাট ৫% হিসেব করে প্রায় ৮,৫৮০ টাকা ব্যয় করতে হবে। অর্থাৎ বর্তমানে স্বর্ণের ভরি ১,৭১,৬০১ টাকা হলেও ৫% ভ্যাট দিয়ে আপনাকে এক ভরি স্বর্ণ কিনতে ১,৮০,১৮১ টাকা ব্যয় করতে হবে।
আজকের-স্বর্ণের-দাম
স্বর্ণের মজুরির হিসাবঃ স্বর্ণের গহনা তৈরি করার জন্য মজুরি প্রদান করতে হয় এই কথা আমরা সকলেই জানি। তবে এই মজুরি সাধারণত বিভিন্ন জিনিসের কারণে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। যেমন গহনার ডিজাইন, কারিগরের দক্ষতা ও কারুকাজ অনুযায়ী স্বর্ণের মজুরি আলাদা হয়। তবে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন বা BAJUS ন্যূনতম ৬% মজুরি ধার্য করেছে। তবে অনেক জটিল ডিজাইনের গহনায় মজুরি ১০%-১৫% পর্যন্ত হতে পারে।

কোন দেশে স্বর্ণের দাম সব চেয়ে কম

পৃথিবীর সকল দেশে স্বর্ণের দাম একই নয়। দেশের মুদ্রার মান, ভ্যাট এবং ট্যাক্সে সহ আরোও অনেক কিছু বিষয়ের উপর লক্ষ্য রেখে স্বর্ণের দাম কম অথবা বেশি হয়ে থাকে। যেমন আফ্রিকার কিছু দেশ যেমন উগান্ডা, ডিআর কঙ্গো, গানা, মালি, তানজানিয়া, সুদান ইত্যাদি দেশে স্বর্ণ সরাসরি খনি থেকে আমদানি, কম ট্যাক্স, দুর্বল স্থানীয় মুদ্রা ও নিম্নস্থ উপার্জনমূলক কাঠামো থাকার কারণে অল্প টাকায় স্বর্ন কেনা যায়। আবার অন্য দিকে আমেরিকার মুদ্রা অনেক শক্তিশালী হওয়ার কারণে সেখানেও অল্প টাকায় স্বর্ণ ক্রয় করা যায়। এখন আমরা এমন কিছু দেশের নাম ও কোন উপায়ে স্বর্ণ ক্রয় করলে অল্প টাকায় কিনতে পারবেন তা সম্পর্কে জানবো। 
দেশ ২৪K স্বর্ণের দাম( প্রতি ভরি)
দুবাই ৪৫৭৪.২০ AED
চীন ৯৭৮৪ HKD
সিঙ্গাপুর ১৬১৪.২৮ SGD
থাইল্যান্ড ৪০৯০৫.৪৯ THB
ভারত ১০৯২৪৫ ₹
সুইজারল্যান্ড ১০১০.৭৯ CHF

স্বর্ণের দাম কেন প্রতিদিন পরিবর্তন হয়

স্বর্ণের দাম প্রতিদিন পরিবর্তন হওয়ার পেছনে অনেক গুলো কারণ থাকে। তার মধ্যে উন্নতম কিছু কারণ হলো অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং বাজারভিত্তিক কারণ। সাধারণত এই সকল কারণেই স্বর্ণের দাম কখনো কিছুটা কমে যায় আবার কখনো কখনো অনেক বেশি বেড়ে যায়। তবে অনেক সময় মুদ্রার মান কমে যাওয়া, তেলের দাম বাড়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও যুদ্ধ পরিস্থিতি ইত্যাদির কারণেও স্বর্ণের দাম অনেক বেড়ে যায়। তবে কিছু সময় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণেও স্বর্ণের দাম বেড়ে থাকে। এখন আমরা স্বর্ণের দাম পরিবর্তনের কিছু কারণ সম্পর্কে জানবো।

  • আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম উঠা নামা করা।
  • মুদ্রার বিনিময় হার কম অথবা বেশি হওয়া।
  • সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্য না থাকা।
  • মুদ্রাস্ফীতি বা শেয়ারবাজারে অস্থিরতা থাকা।
  • তেল ও জ্বালানির দাম বাড়া অথবা কমা।
  • রাজনৈতিক অস্থিরতা ও যুদ্ধ পরিস্থিতি ইত্যাদি। 

বাংলাদেশে স্বর্ণ কেনার সঠিক সময়

আমরা ইতিমধ্যে উপরের আলোচনা থেকে জানতে পারেছি যে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল দেশেই কিছু নির্দিষ্ট কারণে স্বর্ণের দাম উঠা নামা বা কম বেশি হয়ে থাকে। সেই সাথে বাংলাদেশের মুদ্রার মান খুব একটা ভালো না হওয়ার কারণে স্বাভাবিক ভাবেই স্বর্নের দাম বেশি হয়ে থাকে। তবে এমন কিছু সময় আছে যে সময়ে বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমে আসে। এসময় স্বর্ণ ক্রয় করলে কিছুটা হলেও টাকা বাঁচানো সম্ভব। এখন আমরা বাংলাদেশে স্বর্ণ কেনার সঠিক সময় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো।
  • আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে।
  • বিয়ে বা উৎসব মৌসুম ছাড়া অন্য সময়।
  • ডলার রেট স্থিতিশীল থাকলে।
  • বিশ্ব অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকলে।
  • বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি দাম ঘোষনার পর। 

স্বর্ণ কেনার আগে করণীয় কিছু বিষয় জানুন

স্বর্ণ একটি মূল্যবান ধাতু হওয়ার কারণে এটি কেনার পূর্বে কিছু বিষয় অবশ্যই মেনে চলা উচিত। কারণ স্বর্ণ ক্রয় অনেক বড় একটি বিনিয়গ হওয়ার কারণে এক্ষেত্রে প্রতারনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। স্বর্ণ কেনার আগে করণীয় কিছু বিষয় গুলোর মধ্যে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে বিশ্বস্ত দোকান থেকে স্বর্ণ ক্রয় করা। অপরিচিত অথবা রাস্তার আসে পাশের দোকান গুলো থেকে স্বর্ণ ক্রয় করলে অনেক সময় প্রতারনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পরিচিত দোকান অথবা বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি অনুমোদিত দোকান ছাড়া স্বর্ণ ক্রয় করা যাবে না।
এরপর যে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে আপনি যে স্বর্ণ বা স্বর্ণের তৈরি গহনা কিনতে চাচ্ছেন তার ক্যারেট পরিক্ষা করা। বাজারে সাধারণত ১৮,২১,২২ এবং ২৪ ক্যারেট এর স্বর্ণ পাওয়া যায় এবং এদের দামও আলাদা হয়ে থাকে। তাই স্বর্ণ ক্রয়ের পূর্বে অবশ্যই ক্যারেট চেক করে তারপর কিনতে হবে। এরপর স্বর্ণে হলমার্ক আছে কিনা তা যাচাই করে দেখতে হবে। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন এর হলমার্ক ছাড়া স্বর্ণ ক্রয় না করাই ভালো। কারণ এই হলমার্ক ছাড়া স্বর্ন সাধারণত অবৈধ অথবা নকল হয়ে থাকে। এছাড়াও আরোও অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো লক্ষ্য রেখে তারপর স্বর্ণ কেনাই ভালো। 

আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের প্রভাব জানুন

শুধু বর্তমান সময় থেকে নয় বরং পৃথবীর সভ্যতার পর থেকেই স্বর্ণের ব্যাপক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। তবে বর্তমান সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের প্রভাব অনেক লক্ষ্যনীয় একটি বিষয়। স্বর্ণ সাধারণত আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারে লেনদেন হয়ে থাকে। তাই যদি ডলারের দাম কোন দেশের মুদ্রার মানের চেয়ে বেড়ে যায় তাহলে সেই দেশে স্বর্ণের দাম স্বাভাবিক ভাবেই বেড়ে যায়। ঠিক একই ভাবে যদি ডলারের দাম কোন দেশের মুদ্রার মানের চেয়ে কমে যায় তাহলে সেই দেশে স্বর্ণের দাম কমে যায়।
আজকের-স্বর্ণের-দাম
আবার আন্তর্জাতিক স্বর্ণের স্পট প্রাইসের কারণেও স্বর্ণের দাম কম অথবা বেশি হয়ে থাকে। লন্ডন, নিউইয়র্ক, দুবাইয়ের মত দেশ গুলোতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রের স্পট প্রাইস অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি ভরির দাম নির্ধারিত হয়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে এই সকল দেশে স্বর্ণের স্পট প্রাইস উঠা নামা করলে স্বর্ণের দামও কম বেশি হতে থাকে। এছাড়াও বিনিয়োগ ও চাহিদা, সরবরাহ এবং খনি উৎপাদন, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ইত্যাদির কারণেও স্বর্ণের দাম কখনো কিছুটা কম আবার কখনো অনেক বেড়ে যায়। 

পরিশেষেঃ আজকের স্বর্ণের দাম

আজকের স্বর্ণের দাম কত টাকা এই বিষয় নিয়ে আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল দেশি প্রতিদিন অথবা কিছুদিন পর পর স্বর্ণের দাম উঠা নামা করে থাকে। ঠিক এই কারণে আমরা উপরে আজকে স্বর্ণের দাম কত টাকা সেই সম্পর্কে সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছি। অনেকে সোনা ভরি হিসেবে দাম জানলেও তা আনা হিসেবে কত টাকা হবে সেই বিষয় বুঝতে পারেনা। ঠিক এই কারণকেই লক্ষ্য রেখে আমরা ১৮,২১ এবং ২২ ক্যারেট স্বর্ণের কত আনার দাম কত টাকা সেই হিসেবও উল্লেখ করেছি। এছাড়াও স্বর্ন বা সোনা সম্পর্কে অনেক জানা ও অজানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাই আশা করা যায় যে উপরের তথ্য গুলো ভালো ভাবে পড়লে স্বর্ন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্লো আপ ফ্লো এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url