মাত্র ১ ডলারে ফেসবুক বুস্টিং ও অ্যাডস চালানোর নিয়ম

মাত্র ১ ডলারে ফেসবুক বুস্টিং ও অ্যাডস চালানোর নিয়ম অনেকে জেনে থাকলেও কিন্তু ফলাফল ভালো আনতে পারেন না। তাই আজকে আমরা Awareness অ্যাড ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে মাত্র ১ ডলার খরচ করে ৫০০ থেকে ১০০ ইনগেজমেন্ট নিয়ে আসার চেষ্টা করবো।

মাত্র-১-ডলারে-ফেসবুক-বুস্টিং-ও-অ্যাডস-চালানোর-নিয়ম

ফেসবুক হলো ট্রাফিকের মহা সাগর। এখানে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ ভিজিট করে। তাই আপনি যদি নিজেকে সবার সামনে উপস্থাপন করতে চান তাও আবার অল্প টাকা খরচ করে তাহলে এই টিপস গুলো আপনার অনেক প্রয়োজনে আসতে পারে।

সূচিপত্রঃ মাত্র ১ ডলারে ফেসবুক বুস্টিং ও অ্যাডস চালানোর নিয়ম

মাত্র ১ ডলারে ফেসবুক বুস্টিং ও অ্যাডস চালানোর নিয়ম

মাত্র ১ ডলারে ফেসবুক বুস্টিং ও অ্যাডস চালানোর নিয়ম অনুসরণ করে আপনিও ভালো রেজাল্ট আনতে প্রবেন বলে আসা করা যায়। ফেসবুকে মাত্র ১ ডলার খরচ করে যদি আপনি বিজ্ঞাপন চালাতে চান তাহলে এর জন্য কিছু কৌশলী পরিকল্পনা ও কার্যকর সেটআপ জানা খুব জরুরি। অনেকেই ভাবেন ১ ডলারে হয়তো তেমন কিছু সম্ভব না কিন্তু বাস্তবতা হলো যদি আপনি সঠিকভাবে অডিয়েন্স নির্ধারণ করেন এবং আকর্ষণীয় কনটেন্ট তৈরি করেন তাহলে অল্প বাজেটেও ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়। এজন্য প্রথমেই আপনাকে একটি ফেসবুক বিজনেস ম্যানেজার অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং একটি অ্যাড একাউন্ট সেটআপ করে পেমেন্ট পদ্ধতি যুক্ত করতে হবে। এরপর আপনার পোস্ট বা ভিডিওর জন্য একটি প্রফেশনাল লুক তৈরি করে নিতে হবে যাতে তা দর্শকের মন কাড়ে।

এরপর আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে টার্গেট অডিয়েন্স নির্বাচন বিজ্ঞাপনের সময় নির্ধারণ এবং বাজেট সঠিকভাবে ব্যবহার করার ওপর। অল্প বাজেটে বিজ্ঞাপন চালাতে চাইলে আপনি এমন অডিয়েন্স নির্বাচন করুন যারা আপনার পণ্য বা সেবায় আগ্রহী হতে পারে এবং লোকেশন নির্দিষ্ট করুন শুধুমাত্র যেখান থেকে আপনি ক্লায়েন্ট বা রেসপন্স পেতে চান। এছাড়া ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজার থেকে Boost Post না দিয়ে Ads Manager থেকে অ্যাড চালালে আপনি বেশি কাস্টমাইজ অপশন পাবেন। ক্যাম্পেইনের ধরন হিসেবে Engagement বা Message অপশন বেছে নিলে কম খরচে বেশি রেজাল্ট পাওয়া যায়। তাই পরিকল্পনা অনুযায়ী অ্যাড চালালে ১ ডলারেও আপনার পণ্যের প্রচার সম্ভব।

মেটা অ্যাড ম্যানেজার নাকি মেটা বিজনেস সুইট থেকে অ্যাড চালাবেন

মেটা অ্যাড ম্যানেজার এবং মেটা বিজনেস সুইট এই দুটি প্ল্যাটফর্ম থেকেই আপনি ফেসবুক বিজ্ঞাপন চালাতে পারেন তবে কোনটি বেশি কার্যকর তা নির্ভর করে আপনার লক্ষ্য ও অভিজ্ঞতার উপর। মেটা বিজনেস সুইট সাধারণত নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য সহজতর যেখানে আপনি সরাসরি পেজ থেকে পোস্ট বুস্ট করতে পারেন এবং বেসিক লেভেলের বিজ্ঞাপন সেটআপ করতে পারেন। এটি সহজবোধ্য হলেও কাস্টমাইজেশন অপশন কম থাকে এবং অনেক সময় আপনার বিজ্ঞাপন কাঙ্ক্ষিত অডিয়েন্সের কাছে ঠিকভাবে পৌঁছায় না। তাই যারা সাধারণভাবে ফেসবুক পেজ ম্যানেজ করেন এবং সময় কম দিয়ে দ্রুত কিছু ফলাফল দেখতে চান তাদের জন্য বিজনেস সুইট একটি ভালো শুরু হতে পারে।

অন্যদিকে মেটা অ্যাড ম্যানেজার অনেক বেশি অ্যাডভান্সড এবং পেশাদারদের জন্য আদর্শ একটি টুল। এখান থেকে আপনি আপনার ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য নির্বাচন করতে পারেন অত্যন্ত নির্ভুলভাবে অডিয়েন্স টার্গেট করতে পারেন এবং বাজেট ও সময় অনুযায়ী একাধিক অ্যাড গ্রুপ তৈরি করতে পারেন। এতে আপনি A/B টেস্টিং, কনভার্সন ট্র্যাকিং, এবং পিক্সেল ইন্টিগ্রেশনের মতো সুবিধা থাকে যা বিজনেস সুইটে নেই। তাই যদি আপনি কম বাজেটে সর্বোচ্চ রিটার্ন পেতে চান এবং বিজ্ঞাপন নিয়ে কাজকে আরও পেশাদার পর্যায়ে নিতে চান তাহলে অবশ্যই মেটা অ্যাড ম্যানেজার ব্যবহার করতে হবে।

ফেসবুক বুস্ট বা অ্যাড চালানোর জন্য ছবি তৈরি করার নিয়ম

ফেসবুক বুস্ট বা অ্যাড চালানোর জন্য একটি আকর্ষণীয় ছবি তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দর্শকের নজর প্রথমেই পড়ে ছবির উপর। এজন্য আপনাকে এমন একটি ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরি করতে হবে যা একদিকে চোখে লাগে অন্যদিকে আপনার পণ্যের বার্তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। ছবি তৈরি করার সময় অবশ্যই প্রোডাক্ট বা সার্ভিসটি ছবির মধ্যেই স্পষ্টভাবে দেখাতে হবে এবং ছবির রঙ, ফন্ট ও ডিজাইন যেন ব্র্যান্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। আপনি চাইলে Canva, Adobe Photoshop বা Pixellab এর মতো সফটওয়্যার ব্যবহার করে খুব সহজেই পেশাদার মানের ডিজাইন বানাতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে ছবির মধ্যে খুব বেশি লেখা যেন না থাকে। কারণ এতে ফেসবুক বিজ্ঞাপন রিজেক্ট হতে পারে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ছবিতে অবশ্যই একটি Call to Action (CTA) যুক্ত করা। যেমনঃ আজই অর্ডার করুন, ইনবক্স করুন বা জানতে ক্লিক করুন ইত্যাদি। এছাড়াও প্রোডাক্টের দাম, ছাড় বা অফার থাকলে তা ছবিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে যাতে দর্শক সহজেই প্রলুব্ধ হয়। ছবি যেন মোবাইল স্ক্রিনে ভালোভাবে দেখা যায় সেজন্য ১ঃ১ বা ৪ঃ৫  Ratio ব্যবহার করলে ভালো হয়। আপনি চাইলে বিভিন্ন রঙ ও ডিজাইনের কয়েকটি ছবির উপর A/B টেস্ট করে দেখতে পারেন কোনটি বেশি রেজাল্ট আনছে। তাই বলা যায় ছবিটি যত বেশি ঝকঝকে ও কার্যকর হবে আপনার ফেসবুক অ্যাড তত বেশি সাফল্য পাবে। তাই অবশ্যই অ্যাডের ছবি ভালোভাবে বানাতে হবে।

AI ব্যবহার করে ছবি বানানোর নিয়ম

বর্তমানে এআই ব্যবহার করে ফেসবুক অ্যাডের জন্য ছবি তৈরি করা অনেক সহজ এবং সময় সাশ্রয়ী হয়ে উঠেছে। আপনি যদি প্রফেশনাল ডিজাইনার না হন তবুও AI টুলের মাধ্যমে দুর্দান্ত মানের অ্যাড ক্রিয়েটিভ বানাতে পারেন। এজন্য আপনি Canva, Adobe Firefly, Microsoft Designer বা Ideogram এর মতো জনপ্রিয় এআই টুল ব্যবহার করতে পারেন। এসব টুলে শুধু আপনার প্রয়োজনীয় বিষয়টি লিখে দিলে এআই নিজেই সেই অনুযায়ী ছবির ডিজাইন সাজিয়ে দেয়। যেমনঃ আপনি লিখলেন "একটি মহিলা হাতে স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট নিয়ে হাসছে" এআই সেই অনুযায়ী হাই কোয়ালিটি ছবি তৈরি করে দেবে। এরপর আপনি চাইলে সেই ছবিতে নিজস্ব ব্র্যান্ড নাম বা অফারও যোগ করতে পারবেন।

এআই দিয়ে ছবি বানানোর সময় আপনাকে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। প্রথমত ছবির রেজুলেশন যেন হাই কোয়ালিটি হয় এবং মোবাইল স্ক্রিনে পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। দ্বিতীয়ত ছবির মধ্যে থাকা উপাদান যেন আপনার পণ্যের সাথে প্রাসঙ্গিক হয় এবং সেটি দেখে দর্শক বুঝতে পারে ছবিটি কি নিয়ে তৈরি হয়েছে। আপনি চাইলে এআই জেনারেট করা ছবিতে লেখাও যুক্ত করতে পারেন। তবে খুব বেশি টেক্সট দেওয়া থেকে বিরত থাকুন যাতে ফেসবুক বিজ্ঞাপন নীতিমালায় সমস্যা না হয়। সবশেষে ছবি আপলোড করার আগে এআই টুল থেকে ডাউনলোড করে আপনার প্রয়োজনমতো সাইজ বা ফরম্যাট ঠিক করে নিন যাতে অ্যাড চালাতে কোনো ঝামেলা না হয়।

সহজ পদ্ধতিতে অ্যাড সেন্টারে যাওয়ার নিয়ম

ফেসবুকে সহজ পদ্ধতিতে অ্যাড সেন্টারে বা Meta Ads Center যাওয়ার নিয়ম জানতে হলে আপনাকে কয়েকটি সাধারণ ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এটি মূলত সেই জায়গা যেখান থেকে আপনি আপনার সব বুস্ট করা পোস্ট, অ্যাড ক্যাম্পেইন এবং তাদের রেজাল্ট এক জায়গায় দেখতে পারবেন। অ্যাড সেন্টারে যেতে প্রথমে ফেসবুকে লগইন করুন এবং আপনার পেজে যান। এরপর পেজের বাঁ দিকের মেনুতে Ad Center নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করলেই আপনি অ্যাড সেন্টারে প্রবেশ করবেন এবং পুরোনো বা চলমান বিজ্ঞাপনগুলো এক নজরে দেখতে পারবেন।

আরও সহজভাবে গেলে আপনি ডেস্কটপ ব্রাউজারে সরাসরি facebook.com/adsmanager এই লিংকে গেলেও Ads Manager এ পৌঁছে যাবেন। যেখান থেকে আরও বিস্তারিত বিজ্ঞাপন তৈরি ও কাস্টমাইজ করা যায়। তবে আপনি যদি শুধুমাত্র পেজের বুস্ট করা অ্যাড এবং ছোটখাটো রিপোর্ট দেখতে চান তাহলে পেজের অ্যাড সেন্টার থেকেই কাজ চালানো যাবে। মোবাইল ব্যবহারকারীরা চাইলে Meta Business Suite অ্যাপ ডাউনলোড করে সেখান থেকেও সহজেই অ্যাড সেন্টারে ঢুকে বিজ্ঞাপন পরিচালনা করতে পারেন। তাই অ্যাড সেন্টারে যেতে এখন আর কোনো ঝামেলা নেই শুধু কয়েকটা ক্লিকেই আপনি আপনার বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

নতুন অ্যাড ক্রিয়েট করার নিয়ম - Goal হিসেবে কি নেওয়া উচিত?

নতুনভাবে ফেসবুক অ্যাড বা Meta Ads তৈরি করার সময় প্রথম ধাপেই আপনাকে Goal বা আপনার উদ্দেশ্য নির্বাচন করতে হয় এবং এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর একটি। কারণ আপনি কোন Goal বেছে নিচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে অ্যাড কেমন রেজাল্ট দেবে। অ্যাড তৈরি করতে প্রথমে Ads Manager বা Meta Business Suite এ যান তারপর Create Ad বাটনে ক্লিক করুন। এরপর আপনার সামনে কিছু Goal বা Objective অপশন আসবে। যেমনঃ Awareness, Traffic, Engagement, Leads, Sales ইত্যাদি।

যদি আপনি নতুন পণ্য নিয়ে কাজ করেন এবং শুধু মানুষকে জানাতে চান তাহলে Awareness Goal বেছে নেওয়াই ভালো। যদি আপনি চান কেউ আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করুক বা লিঙ্কে ক্লিক করুক তাহলে Traffic Goal উপযুক্ত হবে। আবার আপনি যদি চান পোস্টে বেশি লাইক, কমেন্ট, শেয়ার আসুক, তাহলে Engagement বেছে নিতে পারেন। যারা চান কাস্টমার ইনবক্সে মেসেজ করুক তারা Messages Goal সিলেক্ট করতে পারেন। আপনি যদি কনভার্সন বা বিক্রি চান যেমনঃ ওয়েবসাইটে গিয়ে অর্ডার দেয়া তাহলে Sales বা Leads বেছে নিন। তাই আপনার আসল লক্ষ্য কি সেটি বুঝেই সঠিক Goal নির্বাচন করুন তাহলেই অ্যাড থেকে কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট পাবেন।

অডিয়েন্স সিলেক্ট করার সঠিক নিয়ম

ফেসবুক অ্যাডে সফলতা পেতে হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো অডিয়েন্স সিলেকশন অর্থাৎ আপনার বিজ্ঞাপনটি যেন সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছায়। যদি আপনি ভুল অডিয়েন্স টার্গেট করেন তাহলে আপনার অ্যাড খরচ হবে ঠিকই কিন্তু কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট আসবে না। প্রথমে অ্যাড সেটআপ করার সময় Audience অপশনে গেলে আপনি তিন ধরনের অডিয়েন্স পাবেন Saved Audience, Custom Audience ও Lookalike Audience নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য Saved Audience সিলেক্ট করাই সহজ ও কার্যকর যেখানে আপনি বয়স, অবস্থান, লিঙ্গ ও আগ্রহ অনুযায়ী মানুষ নির্বাচন করতে পারবেন।

সঠিক অডিয়েন্স তৈরি করতে প্রথমে নির্ধারণ করুন আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কারা ব্যবহার করে। এরপর লোকেশন সিলেক্ট করুন। যেমন আপনি যদি শুধু ঢাকা শহরে পণ্য ডেলিভারি দেন তাহলে Dhaka বেছে নিন। এরপর বয়স ও লিঙ্গ নির্বাচন করুন। যেমন ১৮-৩৫ বছরের নারী যদি আপনার মূল ক্রেতা হন। এরপর Detailed Targeting এ গিয়ে Interest সিলেক্ট করুন। যেমন Beauty Products বিক্রি করলে Makeup, Skincare, Beauty salon ইত্যাদি সিলেক্ট করুন। সবশেষে যদি আপনার পেজে আগের দর্শনার্থীরা থাকে তাহলে Custom Audience তৈরি করে তাদের আবার টার্গেট করতে পারেন। তাই বুঝেশুনে ও গবেষণা করে অডিয়েন্স তৈরি করলে আপনার অ্যাডের রেজাল্ট অনেক গুণ বেড়ে যাবে।

অ্যাড চালানোর জন্য যে যে বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিত

ফেসবুকে অ্যাড চালাতে গেলে শুধু বাজেট খরচ করলেই হবে না বরং কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ্য রাখা অত্যাবশ্যক। না হলে আপনি টাকা খরচ করেও কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট পাবেন না। প্রথমেই লক্ষ্য রাখতে হবে অ্যাডের উদ্দেশ্য বা Goal স্পষ্ট আছে কিনা। আপনি কি ব্র্যান্ড প্রচার করছেন ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আনতে চান না কি বিক্রি বাড়াতে চান। লক্ষ্য ঠিক না থাকলে ক্যাম্পেইন বিভ্রান্তিকর হবে এবং ফলাফলও আশানুরূপ হবে না। এরপর আপনাকে ভালোভাবে Creative (ছবি বা ভিডিও) প্রস্তুত করতে হবে যাতে দর্শক প্রথম দেখাতেই আকৃষ্ট হয়। ছবির পাশাপাশি ক্যাপশনটিও হতে হবে সংক্ষিপ্ত, স্পষ্ট এবং একটি শক্তিশালী কল টু অ্যাকশন (CTA) যুক্ত করতে হবে।

এরপর লক্ষ্য রাখতে হবে Audience Selection অর্থাৎ আপনার অ্যাড যেন ঠিক সেই মানুষদের কাছে পৌঁছায় যারা আপনার পণ্যে আগ্রহী হতে পারে। ভুল টার্গেটিং মানে অর্থের অপচয়। Budget ও Duration নির্ধারণ করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। অল্প বাজেটে দীর্ঘ সময়ের অ্যাড না দিয়ে বরং স্প্লিট করে ছোট ছোট বাজেটে A/B টেস্ট করুন। এছাড়া Ad Schedule বা কখন অ্যাড দেখানো হবে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কোন সময় বেশি একটিভ, সেটি বিশ্লেষণ করে সময় নির্ধারণ করুন। সবশেষে অ্যাড চালু হওয়ার পর প্রতিদিন Performance Report চেক করুন এবং প্রয়োজনে কন্টেন্ট বা অডিয়েন্স পরিবর্তন করে অপ্টিমাইজ করুন। এই বিষয়গুলো ঠিকভাবে অনুসরণ করলে আপনার ফেসবুক অ্যাড সফল হবে এবং কাঙ্ক্ষিত ফলাফল নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

ফেসবুকে অ্যাড বা বুস্টিং চালানোর জন্য পেমেন্ট মেথড

ফেসবুকে অ্যাড বা বুস্টিং চালানোর জন্য পেমেন্ট মেথড সেটআপ করা অত্যন্ত জরুরি একটি ধাপ। কারণ এটি ছাড়া আপনি কোনো বিজ্ঞাপন চালাতে পারবেন না। বাংলাদেশ থেকে ফেসবুক অ্যাডে পেমেন্ট করার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ইন্টারন্যাশনাল কার্ড (Visa/MasterCard)। বেশিরভাগ সময় ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে সহজেই পেমেন্ট করা যায়। আপনি যদি ব্যাংকে গিয়ে বলেন আমি ফেসবুক বা গুগল অ্যাড চালানোর জন্য একটি আন্তর্জাতিক কার্ড চাই তাহলে তারা আপনাকে উপযুক্ত কার্ড দিয়ে দেবে। এরপর সেই কার্ডটি আপনি অ্যাড অ্যাকাউন্টে যুক্ত করে পেমেন্ট করতে পারবেন।

এছাড়াও যারা সরাসরি ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করতে চান না তারা চাইলে bKash বা Nagad এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল ডলার কার্ড বা VCC কিনে নিতে পারেন বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট সেবা প্রদানকারীদের কাছ থেকে। এর মাধ্যমে আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী ডলার কিনে কার্ডে লোড করে অ্যাড চালাতে পারেন। আরেকটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো Trusted Third Party Media Buyer বা এজেন্সির মাধ্যমে পেমেন্ট করা যারা আপনার অ্যাড একাউন্টে ডলার রিচার্জ করে দেবে তাদের সার্ভিস ফি নিয়ে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন কোনো অযোগ্য বা ভুয়া এজেন্সিকে টাকা না দেন। তাই পেমেন্ট মেথড নির্বাচনের সময় নিরাপত্তা ও বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করে তবেই অ্যাড চালু করুন।

পরিশেষে - মাত্র ১ ডলারে ফেসবুক বুস্টিং ও অ্যাডস চালানোর নিয়ম

মাত্র ১ ডলারে ফেসবুক বুস্টিং ও অ্যাডস চালানোর নিয়ম নিয়ে আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমরা আশা করি যে আপনি যদি উপরের লিখা গুলো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনিও কিভাবে ঘরে বসে নিজে নিজেই ফেসবুকে অ্যাড চালাবেন এই বিষয়ে অনেক কিছুই জানতে পারবেন। আমরা উপরে ফেসবুকে একটি অ্যাড চালানোর জন্য যা যা প্রয়োজন সেই সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই আশা করা যায় যে উপরের তথ্য গুলো ভালোভাবে পড়লে মাত্র ১ ডলারে ফেসবুক বুস্টিং ও অ্যাডস চালানোর নিয়ম সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্লো আপ ফ্লো এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url