বিদেশ যাওয়ার শপিং লিস্ট সম্পর্কে জেনে নিন বিস্তারিত

বিদেশ যাওয়ার শপিং লিস্ট বিদেশ ভ্রমণের আগে জেনে নেওয়া অনেক জরুরি একটি বিষয়। বিশেষ করে যারা নতুন এর আগে কোনো দিন বিদেশ ভ্রমণে যায়নি তাদের কাছে এই প্রশ্নটি বারবার আসে যে বিদেশ যাওয়ার আগে আমাদের কি কি কেনাকাটা করা প্রয়োজন একটি সুন্দর চিন্তামুক্ত ভ্রমণ জন্য।
বিদেশ-যাওয়ার-শপিং-লিস্ট
আপনার বিদেশ ভ্রমণ সুন্দর ও চিন্তামুক্ত করার জন্য ও অপ্রত্যাশিত সমস্যা এড়ানোর জন্য একটি প্রয়োজন মাফিক কেনাকাটা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নতুন অবস্থায় বিদেশ ভ্রমণের জন্য যে-সকল কেনাকাটা করতে হবে আজকে আমরা তা অতি সংক্ষেপে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।

সূচিপত্রঃ বিদেশ যাওয়ার শপিং লিস্টঃ একটি চিন্তামুক্ত ভ্রমণের প্রস্তুতি

বিদেশ যাওয়ার শপিং লিস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

বিদেশ যাওয়ার শপিং লিস্ট সম্পূর্ন করে বিদেশ যাত্রা শুরু করা একটি বুদ্ধিমানের কাজ। কেননা বিদেশে যাওয়ার জন্য যে-সকল কেনাকাটা প্রয়োজন সেগুলো না করে অন্য কেনাকাটা করে বিদেশের মাটিতে পৌছে যখন বুঝতে পারবেন আপনি ভুল কেনাকাটা করে চলে এসেছেন তখন ভুলটি সংশোধন করতে অনেক দেরি হয়ে যাবে। যার কারনে আপনাকে অনেক বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হবে। তাই বিদেশে যাওয়ার আগে কি ধরনের শপিং বা কেনাকাটা করা প্রয়োজন তা জানা একটি গুরুত্বপূর্ন কাজ। তাই আসুন জানি আমাদের কি ধরনের শপিং করতে হবে তার একটি সংক্ষিপ্ত ও তথ্যবহুল আলোচনা।

বিদেশে চিন্তা মুক্ত শপিং করার আগে আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে এবং সেটি হচ্ছে আপনার পাসপোর্ট, ভিসা এবং প্লেনের টিকিট ঠিকঠাক আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে। কেননা আপনার এই সকল প্রয়োজনে জিনিস না থাকলে আপনি বিদেশে যেতেই পারবেন না। তাই প্রথমে আপনাকে এ সকল কাগজপত্র যত্ন সহকারে চেক করে নিতে হবে। তারপর যে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে আপনি যে দেশে যাচ্ছেন সেই দেশের আবহাওয়া অনুযায়ী আপনাকে পোশাক কিনতে হবে। বিদেশ যাত্রার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশেষ। এখন আমরা বিদেশ ভ্রমণে যে-সকল কেনাকাটা প্রয়োজন তা নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ভ্রমণের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আর্থিক প্রস্তুতি

ভ্রমণের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আর্থিক প্রস্তুতি

বিদেশ যাওয়ার শপিং লিস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনায় আমরা সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোচনা করেছি যে আমাদের বিদেশ যাত্রার জন্য সাধারণ যে কাগজপত্র দরকার তা সম্পর্কে। এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো। বিদেশ যাত্রা জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় যা ব্যাতিত আপনি ইমিগ্রেশনে পার হতে পারবেন না। একবার ইমিগ্রেশন রিজেক্ট হওয়ার কারণে আপনাকে আরও সময় অপেক্ষা করে পরবর্তীতে আবারো ইমিগ্রেশনের জন্য যাওয়া লাগবে। তাই আমাদের জানা উচিত ইমিগ্রেশন পাস করার জন্য কি ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন হয়।

পাসপোর্টঃ আমাদের সর্বপ্রথম সে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে যে আমাদের সাথে পাসপোর্ট আছে কিনা এবং উক্ত পাসপোর্ট এর মেয়াদ ঠিক আছে কিনা। বিদেশ ভ্রমণ এর আগে অবশ্যই আপনাকে আপনার পাসপোর্ট এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ চেক করে নিতে হবে।

১) ভিসাঃ বিদেশ ভ্রমণের জন্য ভিসা একটু গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী বিষয়। ভিসা বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। তাই আপনি যখন বিদেশ ভ্রমণের জন্য যাবেন নিশ্চিত হয়ে যাবেন যে আপনার ভিসার ধরন ও বৈধতা ঠিক আছে কিনা।

২) প্লেনের টিকিটঃ তারপর যে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সাথে আনতে হবে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্লেনের টিকিট। প্লেনের টিকিট অবশ্যই ডিজিটাল এবং প্রিন্ট কপি সাথে আনতে হবে।

৩) হোটেল বুকিংঃ আপনি বিদেশে যাওয়ার পর যে হোটেলে থাকবেন সেই হোটেলের বুকিং কনফার্মেশন প্রিন্ট অথবা ইমেইলের মাধ্যমে পাওয়া মেইল যত্ন সহকারে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। তা না হলে আপনি দেশের মাটিতে পা রাখার পর বিভ্রান্তির শিকার হতে পারেন।

৪) পরিচয় পত্রঃ নতুন অবস্থায় বিদেশ ভ্রমণের জন্য অবশ্য সাথে পরিচয় পত্র সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। কেননা কোন বিপদে পড়লে আমাদের থাকা পরিচয় পত্রের সাহায্যে পুলিশ সেবা গ্রহণ করা যেতে পারে।

আমরা উপরে যে সকল বিষয়ে আলোচনা করেছি তা সবই হচ্ছে নতুন অবস্থায় বিদেশে যাওয়ার জন্য নতুনরা ভুল করে যে সকল কাগজপত্র রেখে আসে অথবা ভুলভ্রান্তির শিকার হয় সে সকল গুরুত্বপূর্ণ নথি অথবা কাগজপত্র সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে বিবরণ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। উক্ত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ব্যতীত বিদেশ ভ্রমণের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে আর্থিক প্রস্তুতি। কেননা নতুন অবস্থায় কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা থেকে বাঁচতে অথবা এড়িয়ে চলতে আর্থিক প্রস্তুতি নেওয়া জরুরী বিষয়। তাই আসুন আমরা জানার চেষ্টা করি আমাদের কেমন ধরনের আতিক প্রস্তুতি নিতে হবে বা নেওয়া উচিত।

আন্তর্জাতিক ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডঃ বিদেশে কেনাকাটা অথবা হাত থেকে লেনদেনের জন্য আমাদের দেশের মতন কোন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা আমাদের কাছে সচারচর থাকে না। তাই উক্ত লেনদেন করার জন্য আমাদের একটি আন্তর্জাতিক ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড থাকা জরুরী। উক্ত কর্ডের সাহায্যে আমরা ঝামেলা মুক্তভাবে লেনদেন করতে পারি। তবে বিদেশ যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনার কাঙ্খিত ব্যাংক থেকে উক্ত ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ডের বৈধতা যাচাই করে নিবেন।

অর্থ এক্সচেঞ্জঃ আমরা যে দেশে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাচ্ছি সে দেশে আমি কিছু লেনদেনের জন্য নগদ অর্থ থাকা প্রয়োজন। তাই আমরা উত্তর দেশে যাওয়ার পরই এয়ারলাইন থেকে অথবা এয়ারলাইনের বাহিরে বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ থেকে আমাদের দেশের টাকা এক্সচেঞ্জ করে এদেশের কারেন্সি গ্রহণ করতে পারি। এক্ষেত্রে অবশ্যই গুগলে সেদেশের অর্থের রেট জেনে এক্সচেঞ্জ করার বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

প্রয়োজনীয় পোশাক-পরিচ্ছদ কেনাকাটা

বিদেশ ভ্রমণের আগে আপনাকে অবশ্যই একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে আপনি যে দেশে ভ্রমণের জন্য যেতে চাচ্ছেন সে দেশের আবহাওয়া জেনে শপিং বা কেনাকাটা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কেননা আপনি যখন একটি দেশে যাবেন এদেশের আবহাওয়া না জেনে যদি কেনাকাটা করে চলে যান যেমন সে দেশের বর্তমান আবহাওয়া এখন শীতকাল আপনি যদি গ্রীষ্মকালীন কেনাকাটা করে চলে যান তাহলে বিরাট একটি সমস্যার সম্মুখীন হবেন। তাই আবহাওয়া জেনে শপিং বা কেনাকাটা করা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। নিচে বিভিন্ন আবহাওয়ার জন্য আলাদা আলাদা শপিং লিস্ট দেওয়ার চেষ্টা করা হলো।

গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়ার কেনাকাটাঃ গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়ার দেশের জন্য সাধারণত আমাদের উচিত হবে হালকা ও আরামদায়ক কাপড় যুক্ত পোশাক ক্রয় করা। তবে ভালো হবে আপনি যদি ছুটি তৈরি বিভিন্ন জামা কাপড় ক্রয় করেন। পোশাকের মধ্যে যে সকল পোষা ক্রয় করা উচিত তার মধ্যে নতুন হচ্ছে শর্টস বা পাতলা প্যান্ট ও শার্ট, তবে ভালো হবে পাতলা টি শার্ট পরিধান করলে। আপনি আনুষঙ্গিক হিসেবে সানগ্লাস অথবা থেকে বাঁচার জন্য ক্যাপ সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন।

শীতকালীন আবহাওয়ার কেনাকাটাঃ বিদেশ ভ্রমণের জন্য শীতকাল একটি সুন্দর ও আদর্শ সময় হলেও অনেকের ক্ষেত্রে শীতকাল হতে পারে মাথা ব্যাথার কারণ। কেননা শীতকালে ভ্রমণ করতে গেলে অনেকের সে আবহাওয়া সহ্য করতে পারে না ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই শীতকালে ভ্রমণের জন্য অবশ্যই চেষ্টা করবেন উলের তৈরি বিভিন্ন সোয়েটার বা জ্যাকেট ক্রয় করার জন্য। সেই সাথে মাফলার, হ্যান্ড গ্লাভস ও ভালো মানের স্নিকার'স ক্রয় করতে ভুলবেন না।

আনুষঙ্গিক পোশাকঃ আবার উপর নির্ভর করে কেনাকাটার পাশাপাশি আপনাকে আনুষঙ্গিক কিছু পোশাক ক্রয় করতে হবে। রাতে ঘুমানোর জন্য অবশ্যই সঙ্গে আরামদায়ক পোশাক নিয়ে যেতে হবে। আপনার যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাথে মিটিং থেকে থাকে তাহলে সাথে করে অবশ্যই ফরমাল পোশাক বা সুট সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। তাছাড়া আনুষঙ্গিক হিসেবে দৈনিক পরিধানের জন্য স্যান্ডেল বা জুতা সঙ্গে নিতে হবে।

প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক গ্যাজেটস কেনাকাটা

বিদেশ যাত্রার জন্য আপনাকে অবশ্যই সঙ্গে করে কিছু আনুষঙ্গিক ইলেকট্রনিক্স গেজেট নিয়ে যেতে হবে। আর বিশেষ করে আপনি যদি কোন ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই কিছু ইলেকট্রনিক্স গেজেট সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। সঙ্গে করে প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক গেজেট সাথে নিয়ে গেলে আপনি নিশ্চিন্তে আপনার ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন। এখন নিচে বিদেশ ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ইলেকট্রনিক গ্যাজেট কেনাকাটার গাইড সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো। আপনাকে অবশ্যই যে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে যে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন সঙ্গে নিয়েছেন কিনা। কারণ স্মার্টফোন ব্যতীত বিদেশ ভ্রমণ একটি মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারে।

১) চার্জার ও USB কেবলঃ মোবাইল ফোনে পাশাপাশি মোবাইল ফোনকে সার্চ করার জন্য একটি চার্জার এবং আপনার বিভিন্ন ডেট অফ বার্থ তথ্য বারবার করার জন্য একটি অতিরিক্ত ইউএসবি ক্যাবল সঙ্গে নিতে পারেন।

২) পাওয়ার ব্যাংকঃ অনেক সময় আপনার মোবাইল ফোন অথবা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস চার্জ করার জন্য জায়গা খুঁজে পাবেন না। সে ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা থেকে বাঁচার জন্য আপনি সঙ্গে করে একটি পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে যেতে পারেন।

৩) স্মার্টফোনের আনুষাঙ্গিক গেজেটঃ আপনি যদি একজন ভিডিওগ্রাফার বা ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন বা আপনার ছবি তোলার সব থেকে থাকলে আপনাকে অবশ্যই একটি মোবাইল স্ট্যান্ড বা ট্রাইপড সাথে নিয়ে যাওয়া উচিত।

৪) ক্যামেরাঃ যদি বিদেশ ভ্রমণের জন্য ক্যামেরা সঙ্গে নিয়ে যান তাহলে অবশ্যই ক্যামেরার সাথে একটু অতিরিক্ত মেমোরি কার্ড এবং ব্যাটারি নিতে ভুলবেন না। সে সাথে ভালো ফটো বা ভিডিওগ্রাফির জন্য ট্রাইপড নিয়ে যেতে পারেন।

উপরোক্ত ইলেকট্রনিক গ্যাজেট সমূহ আপনার বিদেশ যাত্রা কে সহজ এবং আনন্দময় করে তুলতে সাহায্য করবে। তাছাড়াও আপনি আপনার ব্যক্তিগত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গেজেট সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন যে উক্ত গেজেট সমূহ যেন হালকা হয়। তাহলে তা পরিবহনে অনেক সুবিধা জনক হবে। তবে সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট সমূহ পরিবহন করা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই উক্ত দেশে যাওয়ার আগে যে সকল নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং তা থেকে বিরত থাকা। তা না হলে আপনি বিভিন্ন বিভ্রান্তি অথবা আইনিও প্রক্রিয়ার সম্মুখীন হতে পারেন।

প্রয়োজনীয় ওষুধ জাতীয় সামগ্রি কেনাকাটা

বিদেশ ভ্রমণের জন্য অবশ্যই আপনাকে স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। কেননা আপনি যখন দেশে থাকেন তখন অসুস্থ হয়ে গেলে আপনি খুব সহজেই নিকটস্থ অথবা পরিচয়েত কোন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার পাশে থাকা ফার্মেসি থেকে ঔষধ সামগ্রী ক্রয় করতে পারেন। কিন্তু বিদেশের মাটিতে ইমার্জেন্সির ক্ষেত্রে আপনি সহজে কোন ফার্মেসি খুঁজে পাবেন না আর যদি পেয়েও থাকেন তাহলে প্রেসক্রিপশন ব্যতীত ঔষধ ক্রয় করতে পারবেন না। তাই বুঝতে পারছেন আপনার প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী সঙ্গে নিয়ে যাওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনে একটি কাজ।

বিদেশ ভ্রমণে পূর্বে আপনি যে সকল ওষুধ সামগ্রী গ্রহণ করেন বা নিত্য প্রয়োজনীয়তা পড়ে সে সকল ওষুধ সামগ্রী আগে থেকে ক্রয় করে রাখবেন। তাছাড়াও বিভিন্ন ব্যাথা নাশক ঔষধ, সর্দি কাশির,গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি সমস্যার জন্য প্রয়োজনের ঔষধ সঙ্গে রাখতে পারেন। তাছাড়াও অকাঙ্ক্ষিত কোন দুর্ঘটনার জন্য আগে থেকে ফাস্ট এইট কিট সঙ্গে নেওয়া উচিত। তাছাড়াও আপনার যদি দীর্ঘমেয়াদি কোন অসুখ থেকে থাকে সে ক্ষেত্রে সেই ওষুধ সমূহ সঙ্গে রাখতে হবে। আমাদের সবসময় সতের্ক থাকতে হবে এবং যে-সকল প্রয়োজনীয় ঔষুধ সামগ্রী প্রয়োজন তা সব সময় সঙ্গে রাখতে হবে।
ব্যাক্তিগত দ্রব্য সামগ্রি কেনাকাটা

ভ্রমণের সময় যে-সকল বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে

বিদেশে ভ্রমণের সময় অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো সতর্কতার সাথে মনোযোগ দিতে হয়। প্রথমেই আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার নিরাপত্তা সঠিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে কিনা। স্থানীয় আইন এবং নিয়মকানুন সম্পর্কে জেনে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক দেশে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে যা জানলে আপনি নানা ধরনের সমস্যার থেকে দূরে থাকতে পারবেন। এছাড়াও স্থানীয় রীতিনীতি, সামাজিক আচরণ এবং সভ্যতার প্রতি সম্মান জানানোও জরুরি, কারণ এটি আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে সহজ এবং নিরাপদ করে তুলবে। নিরাপত্তার জন্য দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে আগে থেকেই ধারণা নিন বিশেষ করে যেখানে আপনি যাচ্ছেন সেখানে বিশেষ সতর্কতা নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে কিনা। ভ্রমণের সময় স্থানীয় দুর্যোগ পরিবহন সংকট বা অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি রাখা উচিত।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ন দিক হল স্বাস্থ্য। বিদেশে যাওয়ার আগে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন। যেমন ভ্রমণের পূর্বে যে কোনো ধরনের টিকা নেয়া বিশেষত যেসব দেশে ম্যালেরিয়া বা অন্যান্য রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে সেগুলো সম্পর্কে জানুন এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিন। অনেক দেশে স্বাস্থ্যবিধি বা ফুড হাইজিন সম্পর্কে আলাদা নিয়ম-কানুন থাকে সেগুলো মেনে চলা খুবই জরুরি। এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। বিদেশে ভ্রমণকালে জরুরি মেডিকেল পরিস্থিতি এড়াতে আপনার সাথে সবসময় প্রয়োজনীয় ঔষধ এবং স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে চলুন। ট্যুরিস্ট বা ট্রাভেল ইনস্যুরেন্সও নেয়া উচিত যাতে কোনো বিপদের সম্মুখীন হলে তা মোকাবিলা করা সহজ হয়।

প্যাকিং করার টিপস অ্যান্ড ট্রিকস

প্যাকিং করার সময় আপনার দরকারি জিনিসগুলো সঠিকভাবে সাজানো ও সংগঠিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনি কোনো কিছু ভুলে না যান এবং জায়গা সঞ্চয় হয়। প্রথমত প্যাকিং করার আগে একটি শপিং লিস্ট তৈরি করুন যাতে কোনো কিছু বাদ না পড়ে। হালকা ও আরামদায়ক পোশাক নির্বাচন করুন এবং সেগুলো ভাঁজ করার সময় এমনভাবে ভাঁজ করুন যাতে জায়গা কম নষ্ট হয়। যেগুলো খুব জরুরি যেমন পাসপোর্ট, টিকিট, ঔষধ এবং মানিব্যাগ, সেগুলো হাতে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এইসব আইটেমগুলো আপনার হাতে ব্যাগে রাখুন যাতে সহজে পাওয়া যায় এবং ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

অন্যদিকে ভারী বা অপ্রয়োজনীয় জিনিস প্যাক না করার চেষ্টা করুন। ট্রাভেল সাইজের শ্যাম্পু, ডিওডোরেন্ট এবং অন্যান্য সেলফ কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন যা জায়গা কম নষ্ট করবে। প্যাকিংয়ের সময় জিনিসগুলোকে পর্যায়ক্রমে সাজানো উচিত যেমন প্রথমে ভারী জিনিসগুলো নিচে তারপর মাঝারি ও হালকা জিনিসগুলো উপরে রাখতে পারেন। সঠিকভাবে কেবল গেজেটস বা ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো প্যাক করুন এবং প্রয়োজনীয় চার্জার, পোর্টেবল ব্যাটারি, এবং অ্যাডাপ্টার আলাদাভাবে রাখুন। একাধিক ছোট ব্যাগ ব্যবহার করুন যাতে আপনার জিনিসগুলো সুন্দরভাবে এবং সঠিকভাবে সাজানো থাকে।

বিদেশে কেনাকাটা করার পদ্ধতি

বিদেশে কেনাকাটা করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হয় যা আপনাকে সাশ্রয়ী এবং কার্যকরীভাবে কেনাকাটা করতে সহায়তা করবে। প্রথমত আপনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানে সেল, ডিসকাউন্ট বা মেলা চলছে কি না তা জানুন। অনেক দেশে বিশেষভাবে সেল বা ডিলগুলো নির্দিষ্ট সময় বা ঋতুতে চলে যা আপনার বাজেট অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো সুযোগ হতে পারে। স্থানীয় বাজার ও শপিং মলগুলোতে কেনাকাটা করার সময় মূল্য তুলনা করুন এবং আপনি যা কিনছেন তার মান ও দাম সম্পর্কে নিশ্চিত হোন। কিছু জায়গায় দরদাম করা যায় সেক্ষেত্রে দরদাম করার দক্ষতা কাজে লাগানো ভালো।

অন্যদিকে বিদেশে কেনাকাটা করার সময় আপনি ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন তবে দেশের পেমেন্ট সিস্টেম অনুযায়ী কিছু বাড়তি ফি হতে পারে তাই সেগুলি সম্পর্কে আগে থেকেই জানিয়ে রাখা ভালো। বিভিন্ন দেশে ট্যাক্স রিটার্ন বা ভ্যাট রিফান্ড পদ্ধতি রয়েছে যা বিদেশী পর্যটকদের জন্য উপকারী হতে পারে। তাই কেনাকাটা করার পর ট্যাক্স রিফান্ড ফর্ম পূরণ করতে ভুলবেন না। আপনার কেনাকাটার তালিকা প্রস্তুত করুন এবং প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ছাড়া অতিরিক্ত কিছু কিনে যাতে আপনার বাজেট বৃদ্ধি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

শেষ কথাঃ বিদেশ যাওয়ার শপিং লিস্ট

 বিদেশ যাওয়ার শপিং লিস্ট সস্পর্কে আমরা উপরে বিস্তারিত জেনেছি। আমরা আশা করি যে আমাদের দেওয়া উপরের তথ্য গুলো  বিদেশ যাওয়ার শপিং লিস্ট সম্পর্কিত কোন না কোন সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হতে পারে। তাই মনোযোগ সহকারে পড়লে বিদেশ যাত্রার আগের কেনাকাটা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন। আপনার পাশাপাশি আপনার বন্ধুও যদি বিদেশ ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক হয় তাহলে এই লিখাটি আপনার বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্লো আপ ফ্লো এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url